শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২
Edit Content

বাংলাদেশ      〉   দুর্ঘটনা    অপরাধ    আইন-বিচার    শোক    সরকার    পরিবেশ    জেলা    রাজধানী

আন্তর্জাতিক  〉   ভারত    পাকিস্তান    চীন    যুক্তরাষ্ট্র    এশিয়া    ইউরোপ    আফ্রিকা    মধ্যপ্রাচ্য    লাতিন আমেরিকা

রাজনীতি       〉   আওয়ামী লীগ    বিএনপি    জাতীয় পার্টি    অন্যান্য পার্টি

বাণিজ্য          〉   অর্থনীতি    আমদানি-রপ্তানি    শিল্প    বাজেট    ব্যাংক    রাজস্ব    পর্যটন    শেয়ারবাজার

খেলা              〉   ক্রিকেট    ফুটবল    অন্য খেলা

বিনোদন        〉   গান    নাটক    চলচ্চিত্র    ওটিটি    টেলিভিশন    টালিউড    ঢালিউড    বলিউড    হলিউড

লাইফস্টাইল  〉   কেনাকাটা    গৃহসজ্জা    রূপচর্চা    ফ্যাশন    স্টাইল    সম্পর্ক    ভ্রমণ    রসনা    সুস্থতা

চাকরি            〉   নিয়োগ    খবর

প্রযুক্তি            〉   এআই    বিজ্ঞান    গ্যাজেট    ফ্রিল্যান্সিং    সাইবার    জগৎ    অটোমোবাইল

ধর্ম                  〉   ইসলাম    খ্রিষ্টান    সনাতন    বৌদ্ধ

শিক্ষা             〉   উচ্চশিক্ষা    ক্যাম্পাস    ভর্তি    পরীক্ষা    বৃত্তি

অন্যান্য

সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারো সঙ্গে না: মেঘনা 

সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তার কথিত সহযোগী সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। 

শুনানিতে তিনি বলেন, ‘এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এবং তার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’ এসময় মেঘনা আলমকে মেঘলা আলম সম্বোধন করে শুনানি করার এক পর্যায়ে আসামি মেঘনা তার নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করার জন্য বলেন, আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।

এরপর বিচারক আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আছেন কিনা জানতে চান। মেঘনা আলম আদালতকে বলেন, ‘আমাদের কোনো আইনজীবী নেই। এরপর তিনি কথা বলতে অনুমতি চান। আদালত অনুমতি দিলে বলেন, আমার নাম মেঘনা, মেঘলা নয়। সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন যে কেউ চাইলে কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারে? আপনারা কি তার কাছে যেতে পারবেন? এরপর বিচারক তাকে থামিয়ে মামলা সম্পর্কে কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান। এরপর মেঘনা বলেন, আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে কোনো আইনজীবী পাবেন না। বিষয়টি হলো রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার একমাত্র সম্পর্ক, আর কারো সঙ্গে না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। এটা মোটেও সত্য না। এ বিষয়ে আমি ঈসার সঙ্গে কথা বলি। তাকে এসব তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলি। এসব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি শফিকুরের সঙ্গে কথা বলি। এরপরেই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে।’

এদিকে দেওয়ান সমির আদালতকে বলেন, ‘আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। এটা ভুল তথ্য, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।’ এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখান। একইসঙ্গে দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে এজলাস থেকে হাজতখানায় যাওয়ার পথে মেঘনা আলম বলেন, ‘একমাত্র ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারো সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।’ এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংবাদ