পাংশা উপজেলা এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল রাখতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। অবিভাবকদের সচেতন হতে হবে এবং ছেলে মেয়েদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে, তারা কোথায় কার সাথে মিশছে এবং সময় কাটাচ্ছে তা দেখতে হবে।
শহর ও গ্রামে মাদক নির্মূল করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পদ্মা নদী এলাকায় বালি মাটি কাটার বিষয়ে সচেতন অভিযান হয়েছে এবং আরো হবে। যদি কেউ আইন মেনে নিজের কাজের জন্য মাটি কাটে, তা অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তবে বাণিজ্যের জন্য মাটি বিক্রি করতে হলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হবে, অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজবাড়ীর পাংশায় মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আবু দারদা এসব কথা বলেন। সভাটি বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আমিনুল ইসলাম এবং পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জনগণকে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারীরা অবস্থান করছে এবং তারা কোন দলের নয়। স্থানীয় নেতারা যদি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় না দেয়, তবে অপরাধীরা অপরাধ করে পার পাবে না। তিনি জনগণকে সচেতন হতে এবং অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন খান, মৌরাট ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান প্রামানিক, বাবুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইমান আলী সরদার, যশাই ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু হোসেন খান, বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সজীব হোসেন, কসবাজাইল ইউপি চেয়ারম্যান শাহারিয়ার সুফল মাহমুদ, কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলকিস বানু, পাট্টা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আকিদুল ইসলাম, মাছপাড়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মোন্তাজ উদ্দিন, পাংশা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এম. এ. জিন্নাহ, পাংশা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মাসুদ রেজা শিশির, রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন, সাংবাদিক রতন মাহমুদ, এস. কে. পাল সমীর এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ. কে. আজাদ প্রমুখ।
বক্তারা সম্প্রতি সময়ে পাংশা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক, চুরি ও মারামারি সহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।