অ্যাডাম জাম্পার টানা দুটি বল সাবধানে খেলার পর বাবর আজম কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললেন, “ম্যাচ তো সমতায় এনে ফেলেছি, এত রক্ষণাত্মক খেলাটা কি দরকার ছিল?” তবে জাম্পার পরের বলেই একটু জায়গা তৈরি করে মিড উইকেট দিয়ে বলটি উড়িয়ে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দিলেন।
অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান ১৪১ বল এবং ৯ উইকেট হাতে রেখেই জয়লাভ করল, যার ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা এল। অ্যাডিলেডের ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া কখনোই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। এর আগের ম্যাচে মেলবোর্নে পাকিস্তানকে ২০৩ রানে অলআউট করে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া আজ ১৬৩ রানের লক্ষ্য নিয়েও কিছুটা আশাবাদী ছিল, তবে আবদুল্লাহ শফিক ও সাইম আইয়ুবের ওপেনিং জুটি অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। শফিক ও আইয়ুব শুরুটা ছিল সতর্ক, তবে আইয়ুবই অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে একের পর এক ছক্কা ও চার মেরে রানের গতি বাড়ান। তিনি প্যাট কামিন্স এবং মিচেল স্টার্ককে ছক্কা ও চার মারেন।
আইয়ুবের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের কারণে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে ১০০ রান উঠে যায় ১৬তম ওভারেই, যা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি জুটি। আইয়ুব ৮২ রান করে আউট হন, তবে শফিক ও বাবর সহজেই জয় নিশ্চিত করেন।
পাকিস্তানের বোলাররাও দারুণ ছন্দে ছিলেন, বিশেষ করে হারিস রউফ, যিনি ২৯ রানে ৫ উইকেট নেন। শাহিন আফ্রিদি ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন। রিজওয়ানও উইকেটকিপিংয়ে ৬টি ক্যাচ নিয়ে একটি রেকর্ড গড়েন। অস্ট্রেলিয়াকে সর্বনিম্ন ১৬৩ রানে অলআউট করার পরই ম্যাচটি পাকিস্তানের দিকে চলে যায়।
স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৩৫ ওভারে ১৬৩ (স্মিথ ৩৫, শর্ট ১৯, জাম্পা ১৮, ইংলিস ১৮; রউফ ৫/২৯, আফ্রিদি ৩/২৬)।
পাকিস্তান: ২৬.৩ ওভারে ১৬৯/১ (সাইম ৮২, শফিক ৬৪, বাবর ১৫; জাম্পা ১/৪৪)।
ফলাফল: পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হারিস রউফ।