ফেনী সদরের শর্শদী এলাকায় মাদকের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে হামলা, ভাঙচুর এবং কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের মতে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে এই ঘটনা ঘটে। তবে জানা গেছে, হামলার শিকার একটি প্রবাসী পরিবার।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা যায়, শর্শদী ইউনিটের মেহের আলী বাড়ির আবুল খায়ের ও আবুল হাসেম দুজনই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তবে আবুল হাসেমের ছেলে সৌদি প্রবাসী আরিফ জানান, তার বাবা এক সময় মাদক বিক্রি করলেও বর্তমানে সে ব্যবসা থেকে সরে এসেছেন। অন্যদিকে, আবুল খায়ের নিয়মিত ইয়াবা এবং ফেন্সিডিল বিক্রি করেন। খায়েরের মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করলে আরিফকে হুমকি দেন।
এ ঘটনায় তাদের মধ্যে হাতাহাতি হলে, খায়ের স্থানীয় রাসেল, কাশেম ও নাহিদকে নিয়ে আরিফের বাড়ি হামলা করে। তারা ঘরের টিনে কোপ দিয়ে, আসবাবপত্র ভেঙে, নগদ টাকা এবং স্বর্ণ লুট করে নেয়।
এ ঘটনায় হাতাহাতির পর, খায়ের স্থানীয় রাসেল, কাশেম ও নাহিদকে নিয়ে আরিফের বাড়ি লুটপাট করে। তারা ঘরের টিনে কোপ মেরে, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণ লুট করে নেয়।
এই ঘটনার পর, ফেনী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন আরিফের বাবা আবুল হোসেন। অপরদিকে, খায়েরও পাল্টা মামলা করেন আরিফ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে, কারণ তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আরিফের পেটে কুপির দাগ এবং আবুল খায়েরের হাতে কুপির দাগ রয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদলের একাধিক নেতা জানান, দুটি পরিবারই মাদকের সঙ্গে জড়িত এবং সমাজ থেকে বিচ্যুত। উভয়েই মাদক বিক্রি করে, যার কারণে শিশু কিশোররা নেশায় আসক্ত হচ্ছে। পুলিশ যদি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়, তবে সমাজ মাদকমুক্ত হতে পারে।
অন্যদিকে, আবুল খায়েরের দাবি, হাসেমের কাছে মাদক কিনতে আসা কয়েকজন লোককে দেখে তিনি হুমকির মুখে পড়েন এবং পরে হাসেমের ছেলে তাকে কুপিয়ে আহত করেন।
ফেনী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মর্ম শিং ত্রিপুরা জানান, দুজনের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বৈঠক শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নিবেন।