স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে করা সমস্ত অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয়রা মাদক তৈরি করে, যেমন ফেন্সিডিল, যা তারা আমাদের দেশে পাচার করে।
যদিও তারা ফেন্সিডিলকে ওষুধ হিসেবে দাবি করে, কিন্তু এটি আসলে মাদক হিসেবে তৈরি করা হয়। এছাড়া, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো কাজ করার জন্য দুই দেশের অনুমতি প্রয়োজন, এবং ভবিষ্যতে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করতে হলে দুই পক্ষের সম্মতি নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
তিনি বলেছেন, সীমান্ত হত্যা বা নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, কিংবা বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিকদের দ্বারা বাংলাদেশি নাগরিকদের আটক করা বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া, বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিকদের দ্বারা সীমানা লঙ্ঘন, অবৈধ পারাপার, অনুপ্রবেশ বন্ধে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক দ্রব্যের চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আগরতলা থেকে আখাউড়ায় প্রবাহিত বর্জ্য পানির জন্য চারটি খালে পানি শোধনাগার স্থাপন করার বিষয়েও আলোচনা হবে। এছাড়া, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী নদীগুলোর পানি বণ্টন, পানি উত্তোলন, পানি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং রহিমপুর খালের মুখ পুনঃউন্মুক্তকরণ নিয়েও আলোচনা করা হবে।