ভারতের কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে ১৫ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে (সাবেক এলাহাবাদ) এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে মেলা আয়োজকরা জানিয়েছেন।
কুম্ভ মেলা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পবিত্র ধর্মীয় উৎসব, যেখানে গঙ্গা ও যমুনা নদীর সঙ্গমস্থলে স্নান করতে আসেন লাখো ভক্ত। এই মেলাকে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এখানে প্রায়ই পদদলনের ঘটনা ঘটে।
এ দুর্ঘটনা অতিরিক্ত ভিড় ও চাপের কারণে ঘটেছে বলে জানা গেছে। ছয় সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব হিন্দু ধর্মীয় ক্যালেন্ডারের অন্যতম বড় উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। আজ লাখ লাখ ভক্তের পবিত্র স্নানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। প্রাথমিকভাবে, একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় এক চিকিৎসক নিজের নাম প্রকাশে রাজি হননি, এমনটি এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, উদ্ধারকারীরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহতদের সরিয়ে নিতে ব্যস্ত ছিলেন, এ সময় মাটিতে ছড়িয়ে ছিল কাপড়, জুতা ও অন্যান্য জিনিসপত্র।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উৎসবের জন্য তৈরি করা একটি হাসপাতালের তাঁবুর বাইরে অনেক মানুষ তাদের স্বজনদের খোঁজে অপেক্ষা করছিলেন।
এএফপির তথ্য অনুযায়ী, আজ কুম্ভ মেলার সবচেয়ে পবিত্র দিনগুলোর একটি ছিল। এদিন গঙ্গা ও যমুনা নদীর সঙ্গমস্থলে লাখ লাখ ভক্ত পাপ-শুদ্ধি স্নানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে কর্মকর্তারা তীর্থযাত্রীদের নদী থেকে দূরে থাকার জন্য লাউডহেলারে ঘোষণা করতে থাকেন।
একটি লাউডহেলারে শোনা যায়, “আমরা বিনীতভাবে সকল ভক্তদের অনুরোধ করছি, তারা যেন মূল স্নানস্থলে না আসেন। অনুগ্রহ করে নিরাপত্তা কর্মীদের সহযোগিতা করুন।”
দুর্ঘটনার পর অনেক ভক্ত দ্রুত উৎসবস্থল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।
কুম্ভ মেলায় অংশগ্রহণকারী সঞ্জয় নিশাদ এএফপিকে বলেন, “আমি হতাহতের খবর শুনেছি এবং স্নানস্থল দেখেছি। পরিস্থিতি দেখে আমার পরিবার ভয়ে ছিল, তাই আমরা চলে যাচ্ছি।”