যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য কমতি দেখা দিয়েছে। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাবে এই সংকোচন শুরু হয়েছে। বাণিজ্য কমে যাওয়ার কারণে রাজস্ব আদায়েও প্রভাব পড়েছে।
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় মাসে পণ্য আমদানি প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন কমেছে, আর রপ্তানি কমেছে ১০ হাজার টন। বিশেষ করে গাড়ির চেসিস আমদানি ১৩০টি কমেছে। আমদানিকারকরা জানান, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি এবং ব্যাংকে ডলার সংকটের কারণে পণ্য আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে কঠোর শর্তের কারণে আগাম অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে, যার ফলে আমদানি কমে গেছে।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী আমদানি-রপ্তানিকারকরা আরও জানান, যদিও সরকার সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা বন্দর কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দিয়েছে, বাস্তবে বেনাপোল বন্দর এবং কাস্টমসের কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলছে। সন্ধ্যার পর বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য রাত ১১টা পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়, এবং আমদানি পণ্য সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত, প্রয়োজন হলে রাত ৭-৮টা পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়।