বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। গবেষক ও আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িতদের মতে, ভৌগলিক দূরত্বের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সহজীকরণের সুযোগ রয়েছে।
তারা বিশ্বাস করেন যে, সরাসরি জাহাজ ও বিমান চলাচল শুরু, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, মান নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সার্টিফিকেট গ্রহণ এবং পারস্পরিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে বাণিজ্য কয়েকগুণ বাড়ানো সম্ভব। এখনও দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বাণিজ্য বাড়ানোর আরও সুযোগ রয়েছে।
গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে একটি যৌথ কারিগরি দল গঠন করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগভিত্তিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন হতে পারে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশিদের বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফরের সুযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি সম্পর্কিত প্রস্তাব বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের সুযোগ তৈরি করেছে।
এছাড়া, সম্প্রতি পাকিস্তানের করাচি থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি জাহাজ চলাচলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। বর্তমানে, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে যেসব পণ্য আমদানি হচ্ছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফেব্রিকস, চুনাপাথর, সোডা অ্যাশ, পেঁয়াজ, ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট ও ডলোমাইট, যেগুলি প্রধানত টেক্সটাইল শিল্পের কাঁচামাল।
২০২৩ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশে প্রায় ৬৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৭৯% ছিল রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল। বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানি হয়েছে ৬ কোটি ডলারের পণ্য, যেগুলির মধ্যে রয়েছে কাঁচা পাট, ওষুধ, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, চা ও তৈরি পোশাক।
পাকিস্তান থেকে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে তুলা, পাশাপাশি সিমেন্টের কাঁচামালও আসে বাংলাদেশে। ড. আইনুল ইসলাম মনে করেন, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য, গার্মেন্ট, মেডিসিন, লেদার রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে পাকিস্তানের সিলিং ফ্যান, ফল, রস, মেয়েদের পোশাক বাংলাদেশে জনপ্রিয়।
বিশেষজ্ঞরা পর্যালোচনা করছেন, উভয় দেশের মধ্যে কী ধরনের পণ্যের চাহিদা রয়েছে এবং কীভাবে যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। এছাড়া, পাকিস্তানি হাইকমিশনার বাংলাদেশের নতুন সরকারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করার জন্য আলোচনা করেছেন, বিশেষ করে সরাসরি ফ্লাইট চালু এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে।
উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে করাচি থেকে সরাসরি বাংলাদেশে জাহাজ চলাচলের বিষয়টি।
পাকিস্তান হাই কমিশন ১৩ই নভেম্বর তাদের এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডেলে এটি “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ” হিসেবে বর্ণনা করে। ওই টুইটে বলা হয়, এই নতুন রুট সরবরাহ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাণিজ্য শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে, ট্রানজিট সময় কমবে এবং উভয় দেশের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উল্লেখ করেন, ভৌগলিক দূরত্ব এবং সরাসরি জাহাজ চলাচলের অভাবের কারণে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পণ্য পাকিস্তানে যেতে হলে প্রায়ই দুবাই বা শ্রীলংকা হয়ে করাচি পৌঁছাতে হয়, আর কখনো করাচি থেকে দুবাই বা কলম্বো হয়ে বাংলাদেশে আসতে দেখা যায়। এতে বাণিজ্যের ব্যয় বাড়ে এবং সময় বেশি লাগে, যা স্বাভাবিক বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করে।
এছাড়া, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পাকিস্তান থেকে আসা পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর শতভাগ শারীরিক পরীক্ষা শেষে অনুমোদন দেওয়া হতো, কিন্তু গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাজস্ব বোর্ড এই নিয়ম তুলে নিয়েছে। এর ফলে পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি দ্রুত হবে এবং জটিলতা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ী সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা সরাসরি জাহাজ চলাচলের দাবি জানাচ্ছেন, এবং একবার এটি শুরু হলে, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। “তাহলে বাংলাদেশও তার পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে,” বলছিলেন তিনি।
পাকিস্তান হাই কমিশন ১৩ই নভেম্বর তাদের এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডেলে এটি “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ” হিসেবে বর্ণনা করে। ওই টুইটে বলা হয়, এই নতুন রুট সরবরাহ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাণিজ্য শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে, ট্রানজিট সময় কমবে এবং উভয় দেশের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উল্লেখ করেন, ভৌগলিক দূরত্ব এবং সরাসরি জাহাজ চলাচলের অভাবের কারণে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পণ্য পাকিস্তানে যেতে হলে প্রায়ই দুবাই বা শ্রীলংকা হয়ে করাচি পৌঁছাতে হয়, আর কখনো করাচি থেকে দুবাই বা কলম্বো হয়ে বাংলাদেশে আসতে দেখা যায়। এতে বাণিজ্যের ব্যয় বাড়ে এবং সময় বেশি লাগে, যা স্বাভাবিক বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করে।
এছাড়া, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পাকিস্তান থেকে আসা পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর শতভাগ শারীরিক পরীক্ষা শেষে অনুমোদন দেওয়া হতো, কিন্তু গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাজস্ব বোর্ড এই নিয়ম তুলে নিয়েছে। এর ফলে পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি দ্রুত হবে এবং জটিলতা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ী সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা সরাসরি জাহাজ চলাচলের দাবি জানাচ্ছেন, এবং একবার এটি শুরু হলে, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। “তাহলে বাংলাদেশও তার পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে,” বলছিলেন তিনি।