শুক্রবার, ১৩ই জুন, ২০২৫ | ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
Edit Content

বাংলাদেশ      〉   দুর্ঘটনা    অপরাধ    আইন-বিচার    শোক    সরকার    পরিবেশ    জেলা    রাজধানী

আন্তর্জাতিক  〉   ভারত    পাকিস্তান    চীন    যুক্তরাষ্ট্র    এশিয়া    ইউরোপ    আফ্রিকা    মধ্যপ্রাচ্য    লাতিন আমেরিকা

রাজনীতি       〉   আওয়ামী লীগ    বিএনপি    জাতীয় পার্টি    অন্যান্য পার্টি

বাণিজ্য          〉   অর্থনীতি    আমদানি-রপ্তানি    শিল্প    বাজেট    ব্যাংক    রাজস্ব    পর্যটন    শেয়ারবাজার

খেলা              〉   ক্রিকেট    ফুটবল    অন্য খেলা

বিনোদন        〉   গান    নাটক    চলচ্চিত্র    ওটিটি    টেলিভিশন    টালিউড    ঢালিউড    বলিউড    হলিউড

লাইফস্টাইল  〉   কেনাকাটা    গৃহসজ্জা    রূপচর্চা    ফ্যাশন    স্টাইল    সম্পর্ক    ভ্রমণ    রসনা    সুস্থতা

চাকরি            〉   নিয়োগ    খবর

প্রযুক্তি            〉   এআই    বিজ্ঞান    গ্যাজেট    ফ্রিল্যান্সিং    সাইবার    জগৎ    অটোমোবাইল

ধর্ম                  〉   ইসলাম    খ্রিষ্টান    সনাতন    বৌদ্ধ

শিক্ষা             〉   উচ্চশিক্ষা    ক্যাম্পাস    ভর্তি    পরীক্ষা    বৃত্তি

অন্যান্য

ফরহাদ মজহারের মতে, বর্তমানে দেশের প্রকৃত শাসনক্ষমতা আমলাদের হাতে

ফরহাদ মজহারের মতে, বর্তমানে দেশের প্রকৃত শাসনক্ষমতা আমলাদের হাতে

কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, বর্তমানে দেশের প্রকৃত শাসনক্ষমতা আমলাদের হাতে কেন্দ্রীভূত। তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন আমলারা। তার মতে, গণসার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া আমলাতন্ত্র ভাঙা সম্ভব নয়। তিনি ছাত্রদের রাজনীতি নিয়ে নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে সমালোচনা করে এটিকে ‘ননসেন্স’ বলে অভিহিত করেন।

শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে অনুষ্ঠিত ‘গণ সার্বভৌমত্ব ও নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী গঠন: প্রেক্ষাপট বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনীতি’ শীর্ষক মুক্ত সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফরহাদ মজহার বলেছেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরোধী। তিনি উল্লেখ করেন যে, এতে সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদকে ফ্যাসিবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং গণতন্ত্র মানেই ধর্মনিরপেক্ষতা নয়। তার মতে, এই সংবিধান দিল্লির পক্ষে ইসলাম নির্মূলের উদ্দেশ্যে প্রণীত হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে, কারণ এটি বাতিল করাই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠার সমতুল্য। যারা এই সংবিধানের পক্ষে, তারা দিল্লির স্বার্থ রক্ষা করছে, আর যারা বিরোধিতা করছে, তারা প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রয়েছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা জিয়াউর রহমানের বিরোধী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। যারা সত্যিকারের বিএনপি, তারা দিল্লির দালাল হতে পারে না। আপনাদের উচিত ৭২-এর সংবিধান বাতিলের দাবি উত্থাপন করা।

ফরহাদ মজহার বলেন, খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের নীতিতে অটল থাকার কারণেই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, যদি বিএনপি সত্যিই খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, তবে তাদের এখন ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

তিনি উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনী বর্তমানে রেফারির ভূমিকা পালন করছে, কারণ ১/১১-এর তিক্ত অভিজ্ঞতা তাদের মনে গেঁথে আছে। সেনাবাহিনী পুলিশের কাজ করতে চায় না এবং তারা ব্যারাকে ফিরতে আগ্রহী।

জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগ, দিল্লি এবং বিএনপির বক্তব্য এখন প্রায় অভিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ছয় মাস আগেও দিল্লি বাংলাদেশে নির্বাচন চায়নি, কিন্তু এখন তারা নির্বাচনের জন্য ব্যাকুল। তবে দিল্লি প্রকৃত গণতন্ত্র কখনোই চায় না।

ফরহাদ মজহার বলেন, বিএনপি এমন একটি ফাঁদে পা দিচ্ছে, যার ভয়াবহ পরিণতি তারা এখনও অনুধাবন করতে পারেনি। তিনি উল্লেখ করেন, দিল্লির প্রকৃত সমর্থন আওয়ামী লীগের প্রতি থাকলেও, তারা মুখে বিএনপির পক্ষে কথা বলছে। বিএনপির জন্য এটি বুঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কক্সবাজার কমিউনিটি এলায়েন্সের সংগঠক মুহিব্বুল মুক্তাদিল তানিম বলেন, বাংলাদেশ শুধু নদীমাতৃক নয়, এটি একটি সমুদ্রতীরবর্তী দেশও। বঙ্গোপসাগরের নাম যে দেশের নামে, সেই দেশ একসময় সমুদ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দিয়েছিল। আজ আমরা সেই ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার এবং সমুদ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা মানুষের অধিকার ও ন্যায্যতার কথা বলছি।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য এসএম সুজা উদ্দিন বলেন, লবণ চাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারি পরিকল্পনা ও সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য সঠিক নীতিমালা, গবেষণা এবং ভূরাজনৈতিক সুযোগের যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন। এর মাধ্যমে লবণ শিল্পকে রপ্তানিমুখী খাতে রূপান্তর করা সম্ভব, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবি পার্টির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর কাসেম, শহর জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারুক, মেজর (অব.) মো. আহমেদ ফেরদৌস এবং ভাব বৈঠকীর মুখ্য সংগঠক মো. রুমেল প্রমুখ।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন তাজওয়ার কাসেম, যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন ভাব বৈঠকীর সংগঠক জাহিন ফারুক আমিন। আয়োজনটি ছিল ভাব বৈঠকী পাঠচক্র সংগঠনের, সহ-আয়োজক হিসেবে অংশ নেয় কক্সবাজার কমিউনিটি এলায়েন্স এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি, কক্সবাজার।

বক্তারা সেমিনারে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, নতুন রাজনৈতিক ধারার প্রয়োজনীয়তা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনীতি এবং লবণ শিল্পের উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসরণ করুন

বিশেষ সংবাদ