তাওবা বা অনুশোচনা, যা পাপ থেকে ফিরে আসার একটি শক্তিশালী মাধ্যম, আল্লাহর নিকট সঠিকভাবে ফিরে যাওয়ার একমাত্র উপায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাওবা করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন এবং বহু আয়াতে মুমিনদের তাওবার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো:
১. আল্লাহই ক্ষমাকারী: আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করতে পারেন, কেননা তিনি অত্যন্ত দয়ালু (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৬০)।
২. আল্লাহ ক্ষমা করতে ভালোবাসেন: আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করতে চান যারা তাওবা করে (সূরা নিসা, আয়াত: ২৭)।
৩. আল্লাহ তাওবাকারীকে ভালোবাসেন: যারা তাওবা করে এবং পবিত্র জীবনযাপন করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন (সূরা বাকারা, আয়াত: ২২২)।
৪. পাপ পরিহার আবশ্যক: তাওবা কবুলের জন্য পাপ পরিত্যাগ করা আবশ্যক (সূরা নিসা, আয়াত: ১৬)।
৫. মৃত্যুর আগে তাওবা: মৃত্যুর আগেই তাওবা করতে হবে, নতুবা তা কবুল হবে না (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮)।
৬. ক্ষমার দুয়ার খোলা: আল্লাহর দরবারে ক্ষমার দুয়ার সব সময় খোলা থাকে (সূরা নিসা, আয়াত: ৬৪)।
৭. তাওবাকারীর উত্তম প্রতিদান: আল্লাহ তাওবাকারীকে উত্তম প্রতিদান দেন (সূরা নিসা, আয়াত: ১৪৬)।
৮. তাওবাকারীদের সুসংবাদ: আল্লাহ তাওবাকারী মুমিনদের সুসংবাদ দেন (সূরা তাওবা, আয়াত: ১১২)।
৯. তাওবা পার্থিব জীবনেও প্রাচুর্য আনে: তাওবা শুধুমাত্র পরকালীন জীবনে নয়, পৃথিবীজীবনে প্রাচুর্য ও সুখ আনতে সহায়তা করে (সূরা হুদ, আয়াত: ৫২)।
১০. তাওবাকারীদের জন্য জান্নাত: আল্লাহ তাওবাকারীদের জান্নাতের সুসংবাদ দেন (সূরা তাহরিম, আয়াত: ৮)।
এভাবে তাওবা মানুষকে আল্লাহর নিকট ফিরে যাওয়ার পথে শক্তি দেয় এবং তাদের পরকালীন এবং পার্থিব জীবনকে সুন্দর করে।