ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৯১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে।
আজ মঙ্গলবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার ৮২৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা মুনাফাসহ ৯১৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এছাড়া, তারা তহবিলের আসল উৎস গোপন করে তা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগেও অভিযুক্ত।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার, বিশ্বাসভঙ্গ এবং জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং বিনিয়োগের উৎস ও প্রকৃতি গোপন করেছেন।
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, এবং আরও অনেকে, যারা ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে ব্যাংকের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখাপ্রধান মো. মনজুর হাসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখাপ্রধান মুহাম্মদ সিরাজুল কবির, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও করপোরেট ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশনের (সিআইডি-১) মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া দুলারি এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. ছাদেকুর রহমান, মুছা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. মুছা চৌধুরী, এম এম করপোরেশনের প্রোপাইটর মোহাম্মদ রফিক, অ্যাপার্চার ট্রেডিং হাউসের প্রোপাইটর এস এম নেছার উল্লাহ, ফেমাস ট্রেডিং করপোরেশনের আরশাদুর রহমান চৌধুরী, এবং গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদুল আলমসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে একই ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আহসানুল আলমের বিরুদ্ধে দুদক দুটি মামলা দায়ের করে। গত ১৯ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংক থেকে হাজারো কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আহসানুল আলমসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
পরে, ৯ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংকের ৯৯৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়, যেখানে আহসানুল আলমসহ ৫৪ জনকে আসামি করা হয়।