পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম জানিয়েছেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় আগের তুলনায় আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাহিনী সম্পূর্ণ সজাগ ও সতর্ক রয়েছে, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। ইজতেমায় নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রায় সাত হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি, তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে প্রায় দশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সামনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
আইজিপি জানান, পুরো বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে এবং ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল দেবে, পাশাপাশি নৌ পুলিশের সদস্যরা তুরাগ নদীতে স্পিড বোট নিয়ে নজরদারি চালাবেন। ইজতেমা ময়দানের আশপাশে ২০টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে, এবং ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকুলারের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ময়দানের প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত আইজিপি আকরাম হোসেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল হাসান, তাহেরুল হক চৌহান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক, মাওলানা মাহফুজুল হক ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম রনি উপস্থিত ছিলেন।