ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিন পর জামিন পেয়েছেন নায়িকা পরীমণি। তিনি সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরীমণির পক্ষে জামিনের জন্য অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আবেদন করেন, এবং শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে, আদালত পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন, এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
গত বছর, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে, ১৮ এপ্রিল ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন এবং পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। এরপর তারা ২৫ জুন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান।
২০২১ সালের ৬ জুলাই, বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমনি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ মামলায় অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি। মামলায় নাসির উদ্দিন অভিযোগ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল পান করেন এবং ক্লাবের বিল পরিশোধ না করে পার্সেল নিয়ে চলে যান। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে নাসির উদ্দিনকে ভয় দেখান এবং এক পর্যায়ে তাকে মারধর করেন।